HomeUncategorizedদাদরি গণহত্যার দশ বছর পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে উদ্যোগী যোগী আদিত্যনাথের...

দাদরি গণহত্যার দশ বছর পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে উদ্যোগী যোগী আদিত্যনাথের সরকার

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ৫২ বছর বয়সি আখলাক ও তার ছেলে দানিশকে নির্মমভাবে প্রহার করে একদল জনতা। ঘটনাস্থলে মারা যান আখলাক, দানিশ গুরুতর আহত হন।

প্রকাশিত

খবর অনলাইন ডেস্ক: এক দশক আগের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন মহম্মদ আখলাক। ওই ঘটনার এক দশক পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা-সহ সব অভিযোগ প্রত্যাহারে উদ্যোগী হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০১৫ সালে সংঘটিত এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও গণপিটুনির এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।

গৌতম বুদ্ধ নগরের উচ্চ দায়রা আদালতে দাখিল করা একটি আবেদনে রাজ্য সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২১ ধারার অধীনে মামলাটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। ‘আউটলুক’-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় রানার ছেলে বিশাল রানা।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) ৩০২ (খুন), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), এবং ৫০৬ (হুমকি)–সহ একাধিক গুরুতর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল।

রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৫ অক্টোবর গৌতম বুদ্ধ নগরের সহকারী জেলা সরকারি কৌঁসুলি ভাগ সিং আবেদনটি করেন। ওই নির্দেশের একটি চিঠি ২৬ আগস্ট তারিখে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। আবেদনে বলা হয়েছে যে, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল অভিযোগ প্রত্যাহারের লিখিত অনুমোদন দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের দাবি, আখলাকের বাড়ি থেকে যে মাংস উদ্ধার হয়েছিল তা সরকারি পরীক্ষাগারে ‘গরুর মাংস’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল—এই যুক্তিও আবেদনে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বিসাদা গ্রামের বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সি আখলাক ও তার ছেলে দানিশকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে নির্মমভাবে প্রহার করে একদল জনতা। ঘটনাস্থলে মারা যান আখলাক, দানিশ গুরুতর আহত হন। অভিযোগ ছিল, আখলাক গরু জবাই করে বাড়িতে তার মাংস রেখেছিলেন। স্থানীয় মন্দিরের লাউডস্পিকারে এ সম্পর্কিত ঘোষণা শোনা যায় বলে গ্রামবাসীরা দাবি করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান আখলাক, গুরুতর আহত হন দানিশ।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতা, গণপিটুনি, ও গরু-রাজনীতি নিয়ে বিস্তৃত জনমত সৃষ্টি হয়। ‘নট ইন মাই নেম’ আন্দোলন-সহ বিভিন্ন নাগরিক প্রতিবাদ গণচিত্তে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। বর্তমানে মামলাটি আদালতের বিবেচনায় রয়েছে।

আদালতের সম্মতি ছাড়া অভিযোগ প্রত্যাহার করা যাবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে—আইন, রাজনীতি ও নাগরিক অধিকার নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দাদরি গণহত্যা আরও একবার আলোচনায় ফিরে এসেছে।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

ভারত-দঃ আফ্রিকা ১ম টেস্ট: জাদেজার জাদুতে ধস দক্ষিণ আফ্রিকার, কঠিন পিচে নাটকীয় মোড় দ্বিতীয় দিনে

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারত দ্বিতীয় দিনের খেলার শুরুতে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে ১২২ রানে...

তিন দশক ধরে ভোটে না লড়েও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, শেষ কবে বিধায়ক হয়েছিলেন

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ১৯৮৫-এর পর আর MLA হননি। ৩০ বছর ধরে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতি। লোকসভায়ও ছ’বার নির্বাচিত নীতীশের রাজনৈতিক যাত্রাপথ নিয়ে প্রতিবেদন।

মাতৃত্বের পর দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি নিয়ে স্পষ্ট কথা বললেন দীপিকা পাডুকোন

খবর অনলাইন ডেস্ক: মাতৃত্বের পর দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সমালোচনার...

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি! আইইউসিএন-এর ‘গুড’ রেটিং পেল সিকিমের কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক

সিকিমের কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক আইইউসিএন-এর ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ‘good’ রেটিং পেয়েছে। সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

আরও পড়ুন

জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা নিয়ে তুমুল হট্টগোল-হাতাহাতি, অধিবেশন স্থগিত

বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা নিয়ে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।...

ষষ্ঠ দফায় ভোটদানের হার ৬৩.৩৭ শতাংশ, চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কমিশনের প্রাথমিক তথ্যে দেখা গিয়েছিল যে, সারা দেশে ভোটদানের হার ছিল ৬১.২ শতাংশের সামান্য বেশি। তবে মঙ্গলবারের চূড়ান্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভোটদানের হার বেড়ে ৬৩.৩৭ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ, প্রাথমিক তথ্যের সঙ্গে চূড়ান্ত হিসাবের পার্থক্য প্রায় ২ শতাংশ।

কিয়ারার জন্মদিন উদযাপন করতে কোথায় গেলেন সিদ্ধার্থ? মা হওয়ার ব্যাপারে কী জানালেন অভিনেত্রী?

বলিউডের জনপ্রিয় তারকা জুটি সিদ্ধার্থ মালহোত্র ও কিয়ারা আডবাণী। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করে সিদ্ধার্থ মলহোত্রা ও কিয়ারা আডবাণী।