নিজস্ব প্রতিনিধি: বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন – আভিজাত্যের প্রতীক, সাবেকিয়ানার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, বাংলার ঐতিহ্যের ধারক। এই সংগঠনের দুর্গোৎসব এ বার ৭৩তম বছরে পড়ল। এ বার বালিগঞ্জ কালচারালের দুর্গাপূজায় এক অভিনব ভাবনার প্রকাশ হতে চলেছে। কী সেই ভাবনা, তা বুঝতে হলে আপনাকে আসতেই হবে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পূজামণ্ডপে।
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট মোড় মহানগরীর এক অতিপরিচিত জায়গা। এই গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী অ্যাভেনিউ ধরে দেশপ্রিয় পার্কের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বাঁ দিকে পড়বে ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক। সেই পার্ক ছাড়িয়ে আর একটু এগিয়ে গেলেই বাঁ হাতের যতীন দাস রোড। সেই রাস্তায় ঢুকলেই পেয়ে যাবেন বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পূজামণ্ডপ।
দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত পুজোর এ বারের থিম হল ‘কথাবলী, কথা ও কবিতার অন্য পাঁচালী’। জীবনের ভালোমন্দ নিয়েই কবিতা, কবিতার ছন্দ। কথার পিঠে কথা সেজে তৈরি হয় কবিতা। সেই কবিতা গিয়ে মেশে ‘কথাবলী’-র স্রোতে।
অল্প কয়েকটি কথা ও কবিতার ব্যঞ্জনার মাধ্যমে আমরা নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করি। আবার সংগীতের মূর্ছনায় কথা থেকে তৈরি হয় গান। গান ও কবিতার কোলাজই এ বার দেখা যাবে বালিগঞ্জ কালচারালের মণ্ডপে। পুরোনো ও নতুন কালজয়ী কিছু গানের কলি ও চর্যাপদ থেকে শুরু করে আধুনিক কবিতার বেশ কিছু লেখার উপস্থাপনায় সেজে উঠছে পূজামণ্ডপ। সম্পূর্ণ মেটালের ইনস্টলেশন ও অপূর্ব সুন্দর মাতৃপ্রতিমার সমন্বয়ে গড়ে উঠছে উৎসবপ্রাঙ্গণ।
বহু মানুষের নিরলস পরিশ্রমে তিলে তিলে একটি ভাবনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। আমরা যেমন মায়ের পথ চেয়ে বসে থাকি, তেমনই প্রতিমাশিল্পী থেকে মণ্ডপশিল্পী, পুজো সংগঠক, সবাই দর্শকদের পথ চেয়ে থাকেন। কবে পুজো আসবে, কবে মানুষ তাঁদের কাজ দেখার সুযোগ পাবেন। এ-ও এক রকম পথ চলা। সেই পথের অন্য পাঁচালি কথা ও কবিতায় রাঙানো। তাই তো তার নাম ‘কথাবলী’।
‘কথাবলী’ থিমের ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন বিমল সামন্ত। প্রতিমা গড়েছেন সনাতন পাল। আবহ ও আলোর দায়িত্বে রয়েছেন যথাক্রমে ঋষি পণ্ডা এবং পিনাকী গুহ।
আরও পড়ুন
ট্যাংরা ঘোলপাড়ার এ বারের পুজোর থিম ‘দান’, সচেতন করা হচ্ছে অঙ্গদান সম্পর্কে
৮৭তম বছরে কাঁকুড়গাছি মিতালির দুর্গাপুজো তুলে ধরছে ‘ইচ্ছে’-র কাহিনি
৬২তম বর্ষে ‘আগামীর বাংলা’ তুলে ধরবে ঢাকুরিয়ার বাবুবাগান