Homeদুর্গাপার্বণআগমনী গান গেয়ে মা দুর্গার আবাহন করা হয় বড়জোড়ার গুপ্ত পরিবারে

আগমনী গান গেয়ে মা দুর্গার আবাহন করা হয় বড়জোড়ার গুপ্ত পরিবারে

প্রকাশিত

ইন্দ্রাণী সেন বসু, বাঁকুড়া: আগমনী গানে দেবীদুর্গার আগমন ঘটে গুপ্ত পরিবারে। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের হাটআশুরিয়া গ্রামের বৈদ্য গুপ্ত পরিবারের দুর্গাপুজোর বয়স ২৫০ বছরেরও বেশি। এই পরিবারের জনৈক পঞ্চানন গুপ্ত স্বপ্নাদেশে শুরু করেন এই দুর্গাপুজো। তার পর থেকে নিয়ম মেনেই মাতৃআরাধনা হয় এই পরিবারে।

গুপ্ত পরিবারের পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল আগমনী ও বিজয়ার দিন গাওয়া দু’টি প্রাচীন গান। আগমনী গান গেয়ে মা দুর্গাকে আবাহন করা হয় এই পরিবারে। আর বিদায়ের সময় গাওয়া হয় বিজয়ার গান। পরিবারের সকলে মিলেই এই আগমনী ও বিজয়ার গান করেন।   

পুজো এলেই ডাক পড়ে গ্রামের কামারদের। তাঁদের বাড়িতেই যে ধার করা হবে বলিদানের কাস্তে। আবার গ্রামের নাপিতবাড়ি থেকে আসে পুজোর ফুল। অষ্টমীর বলিদানের সময় ‘মা’ ডাকবেন মুখোপাধ্যায় বংশের প্রতিনিধি। পরিবারের মেয়েরা শিলনোড়ায় গাছের ছালে বেঁটে দেবীকে বিশেষ পদ্ধতিতে অবগাহন করান। এমন নানাবিধ রীতিই লক্ষ করা যায় আড়াই শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন এই গুপ্তবাড়ির দুর্গাপুজোয়।

সপ্তমীর ভোরে দেবীকে গয়না আর অস্ত্রে সাজানো হয়। অষ্টমীতে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই পরিবারের সব সদস্য একত্রিত হন। পরিবারের সদস্য তপন কুমার গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেবীপ্রতিমায় মহিষ থাকে না। বলিদান পদ্ধতিও আলাদা। তিন গাছা আখ এক হাতে তুলে অন্য হাতে বলিদান করা হয়।” প্রাচীন পুথি মেনে এখানে বৈষ্ণবরীতিতে পুজো করা হয় বলে জানান তপনবাবু। পুজোর চার দিনই চলে নানা রকম অনুষ্ঠান আর তাতে গোটা পাড়া মেতে ওঠে।

৬২তম বর্ষে ‘আগামীর বাংলা’ তুলে ধরবে ঢাকুরিয়ার বাবুবাগান  

টুসু পরবের আঙ্গিকে প্রান্তজনের কথা বলছে এ বারের তেলেঙ্গাবাগান সর্বজনীনের দুর্গাপুজো

৮২তম বছরে সিংহী পার্ক সর্বজনীন তুলে ধরছে রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী কাঠপুতুলের নাচ 

সাম্প্রতিকতম

শুধুই ক্রিকেটার নন, এক লড়াইয়ের নাম টেম্বা বাভুমা

লর্ডসে ইতিহাস গড়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হল দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা শুধুই ম্যাচ জেতালেন না, জাতিগত বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ করে দিলেন সমালোচকদের। এই প্রতিবেদন তাঁর লড়াই ও নেতৃত্বের কাহিনি।

উত্তর-দক্ষিণবঙ্গ সংযোগে নতুন দিগন্ত: শিয়ালদহ–জলপাইগুড়ি রোড হামসফর এক্সপ্রেস চালু হচ্ছে ২০ জুন

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সরাসরি রেল সংযোগ গড়ে তুলতে চালু হচ্ছে শিয়ালদহ–জলপাইগুড়ি রোড হামসফর এক্সপ্রেস। নশিপুর রেলসেতু হয়ে প্রথম এক্সপ্রেস পরিষেবা।

গরমে শরীর রাখুন ঠান্ডা, তাজা ও সুস্থ: ফলসা খাওয়ার ৬টি দুর্দান্ত উপকারিতা

গরমে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ভ্যাপসা গরমের মাঝে আবার কখনো সখনো বৃষ্টি হচ্ছে ঝমঝম...

১৬ তারিখ থেকে বর্ষার দাপট, উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গেও স্বস্তির ইঙ্গিত

১৬ জুন থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে অতি ভারী ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাপমাত্রাও নামবে উল্লেখযোগ্যভাবে।

আরও পড়ুন

দশমীতে উমা-বিদায় পর্ব সাঙ্গ হতেই লৌকিক দেবীর পুজোয় মাতেন ডুয়ার্সের বাসিন্দারা

দশমীতে উমা-বিদায় পর্ব সাঙ্গ হতেই বাঙালির মন খারাপ হয়ে যায়। আকাশ-বাতাস জুড়ে শোনা যায়...

মহানগরীতে ঠাকুর দেখা ২: রাজীব বসুর ক্যামেরায়

কলকাতা: দুর্গাসপ্তমী চলে গেল। এখন গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে পুজোর আর মাত্র ২টি দিন বাকি...

মহানগরীতে ঠাকুর দেখা ১: রাজীব বসুর ক্যামেরায়

একদিকে ডাক্তাররা বসে আছেন ধর্মতলার অনশন-মঞ্চে অন্যদিকে জনস্রোত নেমেছে কলকাতার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে – শহরের...
কেন লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করা হয় রতন টাটার সেরা উক্তি যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে