উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: এ বার সুন্দরবনের নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস, কাঠ কাটা-সহ বেআইনি কাজ রুখতে বারুইপুর পুলিশ জেলায় বনবন্ধু প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা নিল পুলিশ।
নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করা। নির্বিচারে জঙ্গলের কাঠ কেটে নেওয়া-সহ বেআইনি কাজের ঘটনা লেগেই থাকে সুন্দরবন এলাকায়। এই জিনিস বন্ধ করতে এ বার বদ্ধপরিকর বারুইপুর পুলিশ জেলা। তাই ‘বন বন্ধু’ প্রকল্প চালু করে এই জিনিস বন্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুন্দরবন এলাকায়।
বারুইপুর পুলিশ জেলা সূত্রে খবর, গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, মৈপীঠ উপকূল, সুন্দরবন উপকূল থানা এলাকায় এই প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, বনদফতর, বিডিও-র সঙ্গে আলোচনা চলছে দ্রুত এই প্রকল্প চালুর ব্যাপারে।
এই বনবন্ধু টিমে পুলিস, বনদফতর, ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, বেসরকারি সামাজিক সংস্থা, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা থাকবেন। একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই টিম কাজ করবে ৫টি থানা এলাকায়।
নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ কাটা, গাছের কাঠ কেটে নেওয়া, নদীর পাড়ে মাছের ভেড়ি নির্মাণ খবর কানে এলেই বনবন্ধুরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারও করা হতে পারে। শুধু এটা আটকানো নয়, যে সব জায়গা থেকে ম্যানগ্রোভ কেটে নেওয়া হয়েছে সেই সব জায়গায় নতুন করে ম্যানগ্রোভ বসাবেও এই টিম।
পাশাপাশি, নদীর আশপাশ এলাকায় জোরদার নজরদারি চালানো হবে। এই কাজ ঠিকমত হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করা হবে বারুইপুর পুলিস জেলার সদর অফিস থেকে। প্রসঙ্গত, কুলতলি ও মৈপীঠ, বাসন্তী থানা এলাকায় নদীর পাড় থেকে ম্যানগ্রোভ কেটে নেওয়া ও মাছের ভেড়ি নির্মাণের ঘটনা প্রায়শই হচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নদীর পাড় থেকে ম্যানগ্রোভ কেটে নিয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিকেও এই টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কারণ, পঞ্চায়েতের কাছে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন। আর সুন্দরবনকে রক্ষা করতে গেলে এই টিমের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন: এ বার সরকারি বাসে শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা, নয়া ভাবনা এনবিএসটিসি-র