পাকিস্তান: ৩৪২-৬ (বাবর আজম ১৫১, ইফতিকার আহমদ ১০৯ নট আউট, সোমপাল কামি ২-৮৫)
নেপাল: ১০৪ (২৩.৪ ওভারে) (সোমপাল কামি ২৮, আরিফ শেখ ২৬, শাদাব খান ৪-২৭, হারিস রাউফ ২-১৬)
মুলতান (পাকিস্তান): অন্য রকম ফল হবে, এতটা আশা কেউ করেনি। কিন্তু তা বলে ম্যাচটা এতটা একপেশে হবে এটাও কেউ ভাবতে পারেনি। ২০২৩ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে একেবারে দুরমুশ করে দিল পাকিস্তান। ২৩৮ রানে জিতল তারা।
বাবর আজম ও ইফতিকার আহমদের সেঞ্চুরির দৌলতে পাকিস্তান ৫০ ওভারে পৌঁছে যায় ৩৪২-এ। এই ৩৪২ করতে তারা হারায় ৬টা উইকেট। জয়ের জন্য নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৪৩ রান করতে হবে, এই লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে নেপাল। এশিয়া কাপে প্রথম খেলতে নাম্বা নেপালের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০৪ রানে। মাত্র ২৩.৪ ওভার টিকেছিল তারা।
পঞ্চম উইকেটের জুটিতে পাকিস্তানের রেকর্ড
বুধবার মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় পাকিস্তান। ঘরের মাঠে শুরুটা কিন্তু ভালো হয়নি তাদের। মাত্র ২৫ রানের মধ্যে দুটো উইকেট হারায় পাকিস্তান। তার পর দলের অধিনায়ক বাবর আজম হাল ধরেন। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করতে থাকেন দলের উইকেট কিপার মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু দলের ১১১ রানের মাথায় রিজওয়ান (৪৪) রান আউট হয়ে গেলে আবার বিপদে পড়ে পাকিস্তান। দলের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ১৩ রান যোগ হওয়ার পর মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যান আগা সলমন।
এর পর আজমের সঙ্গে হাল ধরেন ইফতিকার আহমদ। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ২১৪ রান। একদিনের ম্যাচে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান। বাবর-ইফতিকার জুটি ভেঙে দেন ইউনিস খান ও উমর আকমলের রেকর্ড। এর আগে পঞ্চম উইকেটে ইউনিস-উমর জুটি ১৭৬ রান করেছিল।
দলের ৩৩৮ রানের মাথায় আউট হন অধিনায়ক। তিনি ১৩১ বলে ১৫১ রান করেন। দলের স্কোরের সঙ্গে আর ৪ রান যোগ হওয়ার পরে ৩৪২ রানের মাথায় ৫০তম ওভারের শেষ বলে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে।
নেপাল গুটিয়ে গেল ১০৪-এ
৩৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে নেপাল কখনোই স্বচ্ছন্দ বোধ করেনি। এই ম্যাচই ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচ। ১৪ রানের মধ্যে ৩টি উইকেটে পড়ে যাওয়ার পর দলের হাল কিছুটা ধরার চেষ্টা করেন আরিফ শেখ এবং সোমপাল কামি। কিন্তু দলের ৭৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান আরিফ শেখ (২৬)।
এর পরেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে নেপালের। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৩.৪ ওভারে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। তাদের ১০ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ১০৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বলে করে মাত্র ২৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন শাদাব খান। হারিস রাউফ ১৬ রানে ২ উইকেট এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করে।