Homeউৎসবএই বছরে মহা শিবরাত্রির তারিখ ও শুভ সময়  সম্পর্কে ও মহা শিবরাত্রির...

এই বছরে মহা শিবরাত্রির তারিখ ও শুভ সময়  সম্পর্কে ও মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য কী জেনে নিন

প্রকাশিত

শিব আরাধনার সবচেয়ে বড় উৎসব মহা শিবরাত্রি। পুরো ভারতে মহা ধুমধাম করে এই ব্রত পালিত হয়। প্রতি মাসে একটি করে মাসিক শিবরাত্রি পালিত হলেও, পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হওয়া মহা শিবরাত্রি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহা শিবরাত্রিতে সারা রাত জেগে ভক্তরা দেবী পার্বতী ও শিবের পূজা করেন। পুরাণ মতে এ দিনই বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শিব ও পার্বতী। তাই মহাশিবরাত্রি ব্রত শিব-পার্বতীর আশীর্বাদ লাভের বিশিষ্ট দিন।

২০২৩ সালে মহা শিবরাত্রি তিথিতে বিশেষ যোগ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে এর মাহাত্ম্য বহুগুণ বেড়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মহা শিবরাত্রির তিথি, চার প্রহরের পুজোর সময় ও বিশেষ যোগ সম্পর্কে। 

মহা শিবরাত্রির তিথি ও শুভক্ষণ-

চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার মহা শিবরাত্রি পালিত হবে।

চতুর্দশী তিথি সূচনা – 

১৮ ফেব্রুয়ারি, রাত ৮টা ০২ মিনিটে

চতুর্দশী তিথি সমাপ্ত – ১৯ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে।

মহাশিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোর সময়-

প্রথম প্রহরের পুজোর সময় –

১৮ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪২ মিনিট।

দ্বিতীয় প্রহরের পুজোর সময় – 

১৮ ফেব্রুয়ারি, রাত ৮টা ৪২ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৫০ মিনিট।

তৃতীয় প্রহরের পুজোর সময় –

 ১৮ ফেব্রুয়ারি, রাত ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা ৫৮ মিনিট।

চতুর্থ প্রহরের পুজোর সময় – 

১৯ ফেব্রুয়ারি, রাত ২টা ৫৮ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ০৬ মিনিট।

ব্রতভঙ্গের সময় – 

১৯ ফেব্রুয়ারি, সকাল ৬টা ০৬ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৪৩ মিনিট।

শিবরাত্রিতে নিশীথ কালে পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি, রাত ১১টা ২৫ মিনিট থেকে মধ্যরাত ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নিশীথ কাল থাকবে।

মহাশিবরাত্রির তাৎপর্য-

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী পার্বতী কঠিন তপস্যার পর মহাদেবকে স্বামীরূপে পেয়েছিলেন। এই দিনেই পার্বতীর সঙ্গে মহাদেবের বিয়ে হয়েছিল। তাই মহা শিবরাত্রির দিনটি মহাদেব ও দেবী পার্বতীর মিলনকে চিহ্নিত করে। কথিত আছে, শিবরাত্রিতে যে অবিবাহিত নারী সঠিক বিধি মেনে ব্রত পালন করেন তিনি তাঁর মনের মতো জীবনসঙ্গী পান। বিবাহিত মহিলারা এই দিন সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রার্থনা করেন। তাছাড়া, মহাশিবরাত্রির দিনে যে ভক্ত নিষ্ঠাভরে ভোলেনাথের পূজার্চনা করেন, তাঁর জীবন থেকে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। ভোলেবাবার আশীর্বাদে ঘরে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি বিরাজ করে।

মহা শিবরাত্রির সব পৌরাণিক কাহিনী জানতে দেখুন খবর অনলাইন।

সাম্প্রতিকতম

মমতাকে নিয়ে গিরিরাজের মন্তব্য ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সলমন-সোনাক্ষীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল...

শপথ নিয়ে প্রথম প্রতিশ্রুতি রাখলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি

হায়দরাবাদ: তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে যে...

রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে আরও একটি বড়ো নাম, কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ভোট গণনার পরেও অব্যাহত রয়েছে। এই তিনটি...

বৃহস্পতিতেও বাংলায় বৃষ্টি, বর্ষণ থামলেই দ্রুত নামবে পারদ

কলকাতা: আকাশ মেঘলা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যের কয়েকটি জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি...

আরও পড়ুন

রাখি বন্ধন উৎসবে বাড়িতে বানাতে পারেন এই ৪ রকমের রাখি, কীভাবে বানাবেন জেনে নিন

রাখি বন্ধন উৎসব প্রায় এসেই গেল। ভাই-বোনের ভালোবাসার প্রতীক রাখি বন্ধন উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। রাখি উপলক্ষে বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাখি কিনতে পাওয়া যায়।

রাখিবন্ধনে উৎসবে কী ভূমিকা শ্রীকৃষ্ণ ও দ্রৌপদী, শুভ ও লাভ, যম ও যমুনার? এই অজানা কাহিনীগুলি কী জানেন?  

রাখি পূর্ণিমার পবিত্র উৎসব হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভাই বোনের প্রেম প্রীতির অন্যতম বন্ধন উৎসব। এই উৎসব যত না উৎসবের আনন্দ তার চেয়েও অনেক বেশি দায়িত্বের।

রাখিবন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয়? এই উৎসবের আসল মাহাত্ম্য কী?

ভাই-বোনের সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতেই রাখি উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।  রাখির সুতোয় আরও গভীর বন্ধনে আবদ্ধ হয় ভাই-বোনের সম্পর্ক।