লোকনাথ বাবা নিত্য, তিনি অবিনাশী। তিনি বলে গিয়েছিলেন যে ভক্তি আর বিশ্বাস নিয়ে তাকে যখনই কেউ ডাকবে তখনই তিনি তাঁকে উদ্ধার করবেন। ৩ রা জুন তাঁর তিরোধান তিথি। ১৯ শে জৈষ্ঠ্য(৩ রা জুন) ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ বা ১২৯৭ বঙ্গাব্দে ইহ লীলা সাঙ্গ করেছিলেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। এরপর স্থূল দেহ ত্যাগ করে তিনি সূক্ষ্ম দেহে বিরাজ করতে থাকেন ত্রিলোকময়।
‘রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও আমি তোমাকে রক্ষা করিব’৷ এই কথা বলেছিলেন শিবের অবতার বলে পূজিত বাবা লোকনাথ। তাই এই দিন সবার আগে শিবের পুজো করতে হবে। মহেশ্বরের আশীর্বাদ পেলেই বাবা লোকনাথের আশীর্বাদ পাওয়া যাবে।
![Loknath Baba Temple hd Image2 1](https://www.khaboronline.com/wp-content/uploads/2023/06/Loknath-Baba-Temple-hd-Image2-1.jpg)
লোকনাথ পুজোয় উপকরণ লাগে খুবই সামান্য৷ ঠিক কী কী উপকরণ প্রয়োজন সেই তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নিন৷
লোকনাথ পুজোর প্রধান ফুল নীল শাপলা বা নীল শালুক এবং যে কোনো সাদা ফুল৷ বেলপাতা আনতে যেন ভুলবেন না। লোকনাথ বাবাকে তুষ্ট করতে চাইলে পুজোর উপাচারে তালশাঁস ও কালোজাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টান্ন ভোগ হিসাবে প্রয়োজন মিছরি, তালমিছরি, যে কোনও সাদা মিষ্টি।
আরও পড়ুন: লোকনাথ বাবার জীবনের কাহিনী সম্পর্কে জানেন? জেনে নিন সেইসব অজানা তথ্য
তবে এই পুজোর দিন যেমন নীল শাপলা বাবা লোকনাথের চরণে নিবেদিত করতে হবে, তেমনই পুজোর পর সেখানের প্রসাদ কোনো বাচ্চাদের দান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, যদি জন্মকুন্ডলীতে দরিদ্র যোগ থাকে তাহলে অবশ্যই বাবা লোকনাথের পুজো করতে পারেন। আর্থিক সমস্যার শুভফল পাবেন শীঘ্রই। তবে এইজন্য বছরের একদিন নয়, প্রতি সোমবার আপনাকে ‘জয় বাবা লোকনাথ, জয় ব্রহ্ম লোকনাথ, জয় শিব লোকনাথ, জয় গুরু লোকনাথ’ মন্ত্রোচ্চারণ করতে হবে। তাহলে দেখবেন সব বিপদ কেটে যাবে। জীবনের সব কামনা-বাসনা পূরণ হবে।
উৎসবের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন