Homeউৎসবরথযাত্রার ইতিহাস কী? জেনে নিন রথযাত্রার অজানা তথ্য 

রথযাত্রার ইতিহাস কী? জেনে নিন রথযাত্রার অজানা তথ্য 

প্রকাশিত

ভক্তরা বিশ্বাস করেন মহাপ্রভু জগন্নাথদেব সাত দিন রানি গুন্ডিচা মন্দিরে অবস্থান করেন। প্রতি বছর, হাজার হাজার ভক্ত এবং পর্যটকরা জুলাই মাসে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। 

রথযাত্রা কি?  

রথযাত্রা সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ যেখানে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কাঠের তৈরি রথে করেবিগ্রহকে পরিভ্রমন করানো হয়। কালক্রমে ইহা হয়ে উঠেছে ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষের মিলনতীর্থ।

রথযাত্রার ইতিহাস-

রথযাত্রার ইতিহাস থেকে বৈদিক শাস্ত্রের কথাও জানা যায়। দ্বাপর যুগে দুষ্টের দমন, শান্তি ও আনন্দময় এবং হিন্দু ধর্মীয় সংস্থা স্থাপনের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিশ্বভুবনে এসেছেন। জগন্নাথ আসলে শ্রীকৃষ্ণ অবতার একটি বিশেষ রূপ।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্ম লগ্ন থেকে বিভিন্ন লীলার মাধ্যমে তাঁর স্বরূপ উদঘাটন করেন। অবশেষে বৃন্দাবন লীলা শেষ করে শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকায় চলে যান এবং শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকায় রাজা হন। শ্রীকৃষ্ণ রাজাকে বৃন্দাবন বারবার আকৃষ্ট করে তোলে।

একবার সূর্য গ্রহনের সময় দ্বারকায় সমস্ত বসবাসকারীদের নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ পুণ্য লাভের জন্য কুরুক্ষেত্রে যান। এইদিকে সমস্ত বৃন্দাবন বাসী সূর্য গ্রহনের পুণ্য লাভের জন্য কুরুক্ষেত্রে আসে। অনেকটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বৃন্দাবনের বজ্রবাসীদের সাথে সাক্ষাৎ হয় স্বয়ং ভগবান জগন্নাথ শ্রীকৃষ্ণের সাথে। ভগবান জগন্নাথ জগদীশ্বর নামেও পরিচিত।

বজ্রবাসীরা শ্রীকৃষ্ণকে রাজা হিসাবে না দেখে, বৃন্দাবনের কৃষ্ণ লীলা হিসাবে দেখতে চাইলেন সকলেই, সকল বৃন্দাবনের বাসীদের সাথে বাল্য শ্রীকৃষ্ণ লীলা করছেন।

বজ্রবাসীরা সকলেই প্রার্থনা করলেন হাত জোড় করে শ্রীকৃষ্ণের কাছে। হে প্রভু আমরা প্রত্যেকেই এখানে রয়েছি, তুমিও এখানে রয়েছো। একটি বিষয়ে আমাদের খুব অভাব রয়েছে, সেটি হল মধুময় বাল্য লীলা, চলো আমরা সকলেই মধুময় বাল্য লীলা বৃন্দাবনে ফিরে যাই। এইকথা বলেই সকল বৃন্দাবনবাসী, শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম ও সুভদ্রা দেব দেবীরা সবাই মিলে রথের ঘোড়া টেনে টেনে বৃন্দাবনে নিয়ে যান।

সেই দিনকেই স্মরণ রেখেই ভক্তরা আপন মনে ও আন্তরিকতার সাথে রথযাত্রা আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভক্তরা রথের দড়ি টেনে নিয়ে বৃন্দাবনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভক্তরা রথের রশি ধরে ভগবান জগন্নাথ( শ্রীকৃষ্ণকে) অনুভব করে। আর পরম্পরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল ভক্ত বাসীকে পুণ্য লাভের আশীর্বাদ করেন।

জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন দেবতাকে টেনে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সাত দিন পরে মাসির বাড়ি থেকে রথ যেখানে থাকে। সেই স্থানে আবার রথের রশি টেনে টেনে নিয়ে আসা হয় একে উল্টো রথ বা ফেরত রথ বলা হয়।

উল্টোরথের পরে আসে পূর্ণিমা। পূর্ণিমার দিনে বিশেষ ভাবে রথ টানার প্রচলন রয়েছে। একেই পূর্ণিমার রথ বলা হয়।

উৎসবের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন

সাম্প্রতিকতম

সুচিত্রা-কণিকার জন্মশতবর্ষে ‘বৈতালিক’-এর শ্রদ্ধাঞ্জলি, মন ছুঁয়ে যাওয়া পরিবেশনা ‘দুই কন্যা’  

শম্ভু সেন পিঠোপিঠি দুই কন্যা। বয়সের তফাত এক মাসও নয়। একজনের জন্ম ১৯২৪-এর সেপ্টেম্বরে, অন্যজনের...

বাংলার ইতিহাসের দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ শেষ কবে? বৃষ্টি কবে থেকে?

শ্রয়ণ সেন অতীতে কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গে গরমের পারদ যে যে রেকর্ড তৈরি করেছে, এখনও পর্যন্ত...

৬০ বছর বয়সে মাথায় উঠল মিস ইউনিভার্স বুয়েনস আইরেসের মুকুট, জেনে নিন আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজের সম্পর্কে

এর আগে থেকে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সি কোনও মহিলা এই প্রতিযোগিতার অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে বয়স সীমা তুলে নেওয়া হয়। তার পরই তাঁর এই জয় আসে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই সোমবার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি

রাজ্যের পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই সব মামলার শুনানি হবে সোমবার।

আরও পড়ুন

বড়দিনে উৎসব মুখর কলকাতা, ভিড় উপচে পড়ল পার্ক স্ট্রিট থেকে চিড়িয়াখানায়

কলকাতা: বড়দিনে জনসমুদ্র উপচে পড়ল পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায়। বড়দিনের রাতে পার্ক স্ট্রিটের ভিড় যেন...

রাখি বন্ধন উৎসবে বাড়িতে বানাতে পারেন এই ৪ রকমের রাখি, কীভাবে বানাবেন জেনে নিন

রাখি বন্ধন উৎসব প্রায় এসেই গেল। ভাই-বোনের ভালোবাসার প্রতীক রাখি বন্ধন উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। রাখি উপলক্ষে বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাখি কিনতে পাওয়া যায়।

রাখিবন্ধনে উৎসবে কী ভূমিকা শ্রীকৃষ্ণ ও দ্রৌপদী, শুভ ও লাভ, যম ও যমুনার? এই অজানা কাহিনীগুলি কী জানেন?  

রাখি পূর্ণিমার পবিত্র উৎসব হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভাই বোনের প্রেম প্রীতির অন্যতম বন্ধন উৎসব। এই উৎসব যত না উৎসবের আনন্দ তার চেয়েও অনেক বেশি দায়িত্বের।